tech panacea

প্রথমবার বিমান ভ্রমণে গেলে যেসব জিনিস জানা জরুরি

অজানা কথা
অনেকেই আছেন যারা ফ্রিকুয়েন্ট ফ্লাইয়ার। সব সময় ট্রাভেল করে থাকেন। কিন্তু এমন ও অনেকে আছেন যারা আগে কখনও ফ্লাই করেননি।সময় বা কাজের জন্য নিজেকে সময় দেয়া হয়নি। কিন্তু এখন একটু সময় বের করে ট্রাভেল করতে যাচ্ছেন। যেহেতু জীবনের প্রথম ফ্লাইট তাই একটু দ্বিধা দ্বন্দ্বের মধ্যের পড়তেই পারেন। তাই আমি চেষ্টা করছি এই ব্যাপারে পূর্ণ একটি গাইডলাইন তৈরি করার যাতে করে একবার পরলেই সব বিষয় সম্পর্কে ধারনা হয়ে যায়।

 

 

আমি বাংলাদেশের এয়ারপোর্ট এর আলোকে লেখাটা লিখছি। বিদেশে ভ্রমণে জন্য আপনি যখন এয়ারপোর্ট এ যাবেন। মনে রাখবেন আপনি ঢুকবেন ডিপারচার গেট দিয়ে , মানে গাড়ি দিয়ে দ্বিতীয় তলায় যাতে হবে। সেখানেই বেশ কিছু গেট আছে। যেকোনো একটা দিয়ে ঢুকলেই হবে। চেষ্টা করবেন টিকেট এর প্রিন্ট করা ভার্সন নিয়ে এয়ারপোর্ট এ যেতে। অনেক সময় ডিপারচার দিয়ে ঢুকার সময় টিকেট দেখতে চায়। তারা প্রিন্ট কপি পছন্দ করে।ঢুকার সময় আপনার সকল ব্যাগ স্ক্যানারে চেক করা হবে। পকেট থেকে মোবাইল মানিব্যাগ, সব কিছু বের করে একটা পাত্রে রেখে স্ক্যানারে দিতে হবে। এয়ারপোর্টে ঢুকে যাওয়ার পর আপনার প্রথম কাজ হবে, যে এয়ারলান্সে আপনার ফ্লাইট সেই এয়ারলাইন্সের কাউন্টার খুঁজে বের করা। খুঁজে না পেলে এয়ারপোর্ট কর্মকর্তাদের কাউকে বললে তারা সাহায্য করবে।

 

 

এয়ারলাইন্স পেয়ে গেলে সেখানে দেখতে হবে , আপনার গন্তব্যের জন্য কোন কাউন্টারটা আছে। যদি না পান তাহলে এয়ারলাইন্স এর কর্মকর্তাদের আপনার ফ্লাইট নাম্বার এবং গন্তব্য জানিয়ে জিজ্ঞেস করবেন। অনেক সময় নির্দিষ্ট কয়েক ঘণ্টার আগে নির্দিষ্ট কোন ফ্লাইটের কাউন্টার ওপেন হয়না।কাউন্টারে লাইন ধরে গিয়ে আপনার পাসপোর্ট দিবেন। তারা আপনাকে জিজ্ঞেস করবে যে কোন লাগেজ বুকিং এ দিতে চান কিনা? আপনার যদি কোন লাগেজ বুকিং এ দিতে চান তাহলে কাউন্টারের সাথেই কনভেয়ার ( টেনে নেয়ার মেশিন) আছে ওখানে দিবেন। মনে রাখবেন লাগেজে যেন কোন রকম ব্যাটারি, পাওয়ার ব্যাংক, ক্যামেরা, ল্যাপটপ না থাকে। তাহলে কিন্তু ফেরত আসবে এবং আবার সব খুলে বের করে নিতে হবে।

 

 

তারা আপনাকে পাসপোর্ট ফেরত দিবে এবং সাথে একটি বোর্ডিং কার্ড দিবে। যেটাতে আপনার ফ্লাইট নাম্বার, নাম, কোন গেট দিয়ে প্লেনে উঠতে হবে এগুলো লেখা থাকবে এবং আপনার লাগেজের সাথে একটা স্টিকার লাগিয়ে দিবে ঐটার একটা অংশ ও বোর্ডিং কার্ডে লাগানো থাকবে। বোর্ডিং কার্ড পাওয়ার পর আপনার ইমিগ্রেশন ফর্ম পূরণ করতে হবে। ইমিগ্রেশন ফর্ম ছোট একটা কাগজের ফর্ম। এটা কাউন্টারের পাশেই দেখবেন রাখা আছে। ফর্ম ফিলআপ শেষে যেতে হবে ইমিগ্রেশনের দিকে।

 

 

ইমিগ্রেশনে ঢুকার সময় একজন চেক করবে যে আপনি ফর্ম ফিলআপ করেছেন কিনা এবং, বোর্ডিং কার্ড আছে কিনা। এবার ইমিগ্রেশনে লাইন ধরে গিয়ে আপনার পাসপোর্ট, বোর্ডিং কার্ড এবং ইমিগ্রেশন ফর্ম গুলো দেখাবেন। তারা পাসপোর্টে এবং বোর্ডিং কার্ডে সিল মেরে আপনাকে আবার ফেরত দিবে।ইমিগ্রশন থেকে বের হয়ে আপনি আপনি ডিউটি ফ্রি জোনে ঢুকলেন । মানে এখানে বেশ কিছু ডিউটি ফ্রি শপ পাবেন, এখানে ট্যাক্স ছাড়া সিগারেট, পারফিউম, চকলেট, বিদেশি ড্রিঙ্কস বেশ কমদামে কিনতে পারবেন। কিন্তু ইমিগ্রেশন থেকে বের হয়ে সবচেয়ে প্রথম কাজ হচ্ছে, আপনার ফ্লাইট যে গেট দিয়ে সেটা খুঁজে বের করা। আপনি বোর্ডিং কার্ডে দেখবেন যে আপনার গেট নাম্বার কত ?

 

 

এরপর এয়ারপোর্ট এর দিক নির্দেশনা অনুযায়ী সে দিকে গেলেই আপনার গেট চলে আসবে। অনেক সময় বোর্ডিং কার্ডে গেট নাম্বার দেয়া থাকেনা। তখন ইমিগ্রেশন এরিয়ার পরে দেখবেন অনেক বড় বড় স্ক্রিন লাগানো আছে। সেখানে আপনার ফ্লাইট নাম্বার খুঁজবেন। ফ্লাইট নাম্বার এর পাশেই গেট নাম্বার পাবেন।গেটে পৌঁছানোর পর একটা সিকিউরিটি চেক হবে। সেখানে আপনাকে একেবারে পা থেকে মাথা পর্যন্ত চেক করবে। আপনার কাছে কোন লিকুইড থাকলে সেটা নিতে দিবেনা। কোন হাতিয়ার বা লোহার দণ্ড যা দিয়ে আঘাত করা যায় , এমন কিছুই আপনাকে নিয়ে ঢুকতে দিবেনা। অনেক সময় আপনার জুতা বা বেল্ট খুলে ফেলতে হয়।

 

 

সিকিউরিটি চেক শেষ করে আপনি গেটে পৌঁছালেন। এবার প্লেন এর জন্য অপেক্ষা। প্লেন আসলে আপনার বোর্ডিং কার্ড চেক করে আপনাকে প্লেনে ঢুকার অনুমতি প্রদান করা হবে। প্লেনে উঠে বোর্ডিং কার্ডে আপনার সীট নাম্বার দেয়া আছে। সেই সীটে গিয়ে বসবেন। অন্য কোন সীটে বসলে কিছুক্ষণের মধ্যেই আপনাকে উঠতে বাধ্য করা হবে। প্লেনে উঠে সিটবেল্ট যথাসম্ভব বেধে রাখুন। প্লেনে টয়লেট থাকলেও পানির ব্যবস্থা নেই। সুতরাং, ঐ রকম প্রস্তুতি নিয়েই প্লেনে উঠবেন। (সংগৃহীত)

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *