বাংলাদেশে এখন কল খরচে কথা বলার জন্য আইপি কলিং এপ খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে । দিন দিন বেড়ে চলছে গ্রাহকে সংখ্যা । কিন্তু অনেকেই ভাবছে এই কলিং সার্ভিসটা কি আসলেই নিরাপদ কিনা । আবার অনেকে এইসব নিরাপত্তার কথা মাথায় না রেখেই সবার সাথে তাল মিলিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে এসব এপ ।
আইপি কলিং এপ সুবিধাগুলো মূলতঃ দিয়ে থাকে আইপিটিএসপি বাংলাদেশে বর্তমানে দুই ডজনেরও বেশি আইপিটিএসপি রয়েছে । আর এই আইপিটিএসপি নিবন্ধন করতে যেমনি সরকারের অনুমতি নিতে হয় তেমনি ৫ কোটি টাকা জামানতও দিতে হয় । আমরা যেমনটা গ্রামীনফোন, টেলিটক , বাংলালিংক ব্যবহার করে থাকি সিমের মাধ্যমে ঠিক তেমনি ভাবে শুধু সিম ছাড়া বাকি সব সুবিধা পেয়ে থাকি আইপি কলিং এপ এর মাধ্যমে ।
একটি আইপি কলিং এপ নিতে হলে আপনাকে অবশ্যই আপনার ভোটার আইডি কার্ডের তথ্য দিয়ে নিবন্ধন করতে হবে । যেমনটা আমরা সিমের বেলায় করে থাকি । আইপি কলিং এপও এক ধরনের ভার্চুয়াল সিমের মতই । যেখানে আপনার জন্য একটি অদ্বিতীয় আইপি নাম্বার বরাদ্দ থাকবে । কেউ চাইলে আপনার সেই নাম্বার কল দিও কথাও বলতে পারবে ।
যেহেতু আইপি কলিং নাম্বার অন্য সব সিমের মতই । এবং এটার ওপর সরকারের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে তাই এই সার্ভিসটি আপনি কোনো রকম চিন্তা ছাড়াই ব্যবহার করতে পারবেন । এই নাম্বার দ্বারা যদি কেউ কোনো ধরনের অপরাধমূলক কাজ করতে চায় । তাহলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তাকে যেকোনো সময় ধরতে পারবে ।
এজন্য আপনি চাইলেও এই এপ ভিত্তিক সার্ভিসগুলো বাংলাদেশের বাহির থেকে ব্যবহার করতে পারবেন না । আপনাকে এই সার্ভিস গুলো ব্যবহার করতে হলে বাংলাদেশের মধ্যে থেকে ব্যবহার করতে হবে ।
বর্তমান বাংলাদেশে জনপ্রিয় আইপি কলিং সার্ভিসগুলো মধ্যে রয়েছে ব্রিলিয়ান্ট কানেক্ট , আম্বার আইটি , লিংক থ্রি ডায়েল , আইসিসি কমিউনিকেশন ইত্যাদি । সবগুলো আইপি কলিং সম্পর্কে টেক প্যানাসিয়ার ইউটিউব চ্যানেলে ভিডিও দেওয়া রয়েছে । আপনারা চাইলে টেক প্যানাসিয়া ইউটিউব চ্যানেলে গিয়ে সব আইপি কলিং এপ সম্পর্কে জেনে নিতে পারবেন ।
পরিশেষে বলা যেতে পারে, আইপি কলিং এপ ব্যবহার করা সস্পূর্ণ নিরাপদ এবং বৈধ । বিশ্বের অনেকে দেশেই এই ধরনের আইপি কলিং এপ ভিত্তিক সুবিধা রয়েছে । যদিও বাংলাদেশ অনেক পরে শুরু করেছে তারপরও অল্প সময়ের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে এপগুলো ।