নিলামে উঠতে পারে শাবানার সেলাই মেশিন, জসিমের রিকশা, মারুফের কালা বন্দুক?

মজার খবর
এই লকডাউনে বিশ্বের অনেক বিখ্যাত ব্যক্তিদের অনেক কিছুই নিলামে ওঠার খবর পাওয়া যায় । সেই সাথে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও । ইতোমধ্যে অনেক খেলোয়ার তাদের শখের অনেক জিনিস বিক্রি করেছেন । কিন্তু চলচিত্রের খুবই জনপ্রিয় দুজন তারকা হলেন শাবানা এবং জসিম । আমরা ছোটবেলা থেকেই দেখে এসেছি এদের দুইজনকে নিয়ে কোনো সিনেমা হলেই তাদের সংসারে খুব অভাব আর অভাব দেখা যেত । এজন্য জসিম তার পেশা হিসেবে বেছে নিতেন বহুল প্রচলিত রিক্সা এবং শাবানা বেছে নিতে সেলাই মেশিনে সেলাই এর কাজ ।
এখন অনেকেই রসিকতা করে বলেছেন যে শাবানার এবং জসিমের এই প্রিয় দুইটা জিনিস যদি নিলামে তোলেন হয়ত দাম পেতে পারেন । এ প্রসঙ্গে আগ্রাবাদের মুস্তাকিম বলেন – বাংলাদেশের ইতিহাস স্মরণীয় যতগুলো জিনিস আছে তাদের মধ্যে জসিমের রিক্সা আর শাবানার সেলাই মেশিন । তাই তাদের এই দুইটা জিনিস নিলামে তোলা দরকার । তিনি আরও বলেন, আমরা যদি এই দুইটা জিনিস নিলামে তুলতে পারি তাহলে সেই টাকা দিয়ে অনেক গরিবদের সাহায্য সহযোগিতা করতে পারব । তাছাড়া এই দুইটা  জিনিসের দাম কোটি টাকা উঠে যেতে পারে অদূর ভবিষৎ এ ।
আগ্রাবাদের মুস্তাকিম আরও জানান, তারা এই নিয়ে শাবানা এবং জসিমের নিকট লিখিত আবেদন জানাবেন যাতে তারা তাদের পছন্দের জিনিস গুলো নিলামের জন্য প্রস্তাব দেয়। আরও আগ্রাবাদের মুস্তাকিম আরও জানান শাবানা ও জসিম ছাড়াও আরও অনেক বিখ্যাত অভিনেতা আছে আমাদের দেশে । পাশাপাশি তিনি আরও জানান চিত্রনায়ক মারুফের কালা বন্দুকও চাইলে মারুফ নিলামে তুলতে পারে । তার কালো বন্দুকের দামও কোটি টাকা উঠে যেতে পারে । আর সেই টাকা অসহায় গরিবদের মাঝে বিতরণ করা যাবে ।
কথার ফাঁকে তিনি আরেক জিনিস বলতে চাইছিলেন বার বার কিন্তু বলতে সাহস পাচ্ছিলেন না তারপর আমরাও তাকে সাহস দেওয়ার পর তিনি বললেন , আমাদের দেশে রয়েছে নাম্বার ওয়ান সাকিব খান । তার সেই বিখ্যাত চশমা যদি নিলামে তোলা যায় তাহলে প্রচুর ফান্ড কালেকশন করা যাবে ।
পরিশেষে তিনি বলেন আমরা যদি এভাবে বিখ্যাত জিনিস খুঁজে খুঁজে নিলামে তুলতে পারি তাহলে আমাদের দেশে অনেক উপকার হবে । প্রতিবেদন লেখার শেষ পর্যায় আমরা জানতে পারি আগ্রাবাদের মুস্তাকিম যখন এসব কথা গুলো বলছিলেন তখন তিনি মাতাল নেশাগ্রস্থ ছিলেন এবং তিনি মাঝে মাঝেই নাকি এমন আবল তাবল বলেন। এজন্য নাকি এলাকাবাসীর কাছে বেশ কয়েকবার ধোলাই খেয়েছেন । যেহেতু নিউজটি প্রিন্ট হয়ে গিয়েছিল তাই প্রকাশক ভাবলেন কালি নষ্ট করে কি লাভ পাবলিশ করে দেই ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *