করোনার সময় বিশ্বের প্রায় সবকিছু লকডাউন দ্বারা প্রভাবিত হলেও প্রভাবিত হয়নি টেলিকম খাত । বরং দিন দিন বেড়ে চলছে তাদের ইনকামের পরিমাণ । তাই আগামী অর্থবছর ২০-২১ এ মোবাইল ফোন এবং ইন্টারনেট এর ওপর বাড়ানো হতে পারে ভ্যাট । সরকার ঠিক এমনটাই চিন্তা ভাবনা করছে । তাই বেড়ে যেতে পারে মোবাইল ফোন ইন্টারনেট এবং কল চার্জ ।
যেহেতু করোনার প্রভাব টেলিকম খাতে তেমন প্রভাব ফেলতে পারেনি তাই এনবিআর মনে করছে এই খাত থেকে অনেক রাজস্ব আদায় করা যেতে পারে । করোনার পর থেকে দৈনিক মানুষের কল করার পরিমাণ এবং ইন্টারনেটের ব্যবহারের পরিমাণ বেড়ে চলছে । বর্তমানে ইন্টারনেটের ওপর ৫% এবং কল রেটে ১০% শুল্ক আরোপ আছে । কিন্তু সেটা ইন্টারনেটে জন্য ১০% এবং কল রেটে জন্য ১৫% করা হতে পারে বলে কিছু ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে ।
অন্য দিকে গত অর্থ বাজেটে ইন্টারনেটের ওপর ১৫% করা হয়েছিল শুল্ক কিন্তু কিছু তথ্য প্রযুক্তির সাথে জড়িত সংগঠন ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানায় । শেষে চূড়ান্ত বাজেটে ১০% কমিয়ে ৫% এ আনা হয়েছিল । কিন্তু এবার সেটা ১০% হওয়ার সম্ভবনা খুব বেশি । গত বাজেটে শুল্ক বাড়ানো কারণ বেড়ে গিয়েছিল সিম কার্ড ট্যাক্স, ফোন কল রেট । এজন্য গতবছর কল অনেক বেড়ে গিয়েছিল ।
এখন কল রেটে এবং খুদে বার্তায় খরচ হয় ১৫% ভ্যাট এবং ১০% সম্পূরক শুল্ক সাথে ১% সারচার্জ । এর মানে দাড়াচ্ছে আপনি মোবাইলে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ২২ টাকা কেটে নেওয়া হবে যেটা প্রায় ২৭.৭৭% এর সমান । ফলে আগামী অর্থবছরে বাড়তে পারে খরচটা ।
সাধারণ জনগনের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে সেটা হয়ত জানা যাবে বাজেট ঘোষণা পর । কিন্তু এখনই অনেকে এটা নিয়ে বেশকিছু মহলে আলোচনা সমলোচনা চলছে । এবং ভেবে দেখা হচ্ছে এটা কতটুকু যুক্তিসঙ্গত ।